১. প্রমান দ্রবন বা জানা দ্রবন বা জ্ঞাত দ্রবন
২. পরীক্ষাধীন দ্রবন বা অজানা দ্রবন বা অজ্ঞাত দ্রবন
★ প্রমান দ্রবন : যে দ্রবনের ঘনমাত্রা জানা থাকে তাকে প্রমান দ্রবন বলে।
★ পরীক্ষাধীন দ্রবন : যে দ্রবনের ঘনমাত্রা বের করতে তাকে পরীক্ষাধীন দ্রবন বলে।
★ প্রয়োজনীয় উপকরণ ':
বুরেট, পিপেট, ক্লিনিক্যাল ফ্লাক্স এবং নির্দেশক।
কার্যক্রম : প্রথমত প্রমান দ্রবনকে বুরেটের মাঝে নিতে হবে। তারপর পিপেটের সাহায্যে পরীক্ষাধীন দ্রবনকে পিপেটের সাহায্যে ক্লিনিকাল ফ্লাক্সে রাখতে হবে। তবে এখানে পিপেটের সাহায্যে পরীক্ষাধীন দ্রবনকে নেওয়ার ক্ষেএে মুখ দিয়ে পরীক্ষাধীন দ্রবনকে টানতে হয় ফলে পরীক্ষাধীন দ্রবনটি মুখে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে আর যদি পরীক্ষাধীন দ্রবনটি যদি এসিড হয় তবে কী ভয়ানক অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। তবে বর্তমানে ল্যাবরেটরিতে আরো আধুনিক পিপেটে ব্যাবহার করা হয় যাতে মুখ দিয়ে টানলেও মুখে তা মুখে আসবে না । এরপর বুরেটের প্রমান দ্রবনকে ধীরে ধীরে ক্লিনিকাল ফ্লাক্সে নিতে হবে এবং নির্দেশক যোগ করতে হবে। বিক্রিয়াটি যদি সম্পন্ন হয় তবে এর বর্ন পরিবর্তন হবে বা বর্ন বিবর্ণ হবে। এখন, প্রমান দ্রবনের ঘনমাত্রা ও আয়তন জানা আছে। আর পরীক্ষাধীন দ্রবনের বুরেটের পাঠ নিয়ে এর আয়তন জানা আছে। এ থেকে সহজেই অজানা দ্রবনের ঘনমাত্রা নির্নয় করা যায় নিম্নের সূএের সাহায্যে,
SV = S'V'
★ টাইট্রেশন সম্পর্কিত কতগুলো পদ :
1. টাইট্রান্ট বা টাইটার : টাইট্রেশন করার সময় যে দ্রবনের ঘনমাত্রা জানা থাকে বা প্রমান দ্রবনকে টাইট্রান্ট বা টাইটার বলে। এটি বুরেটে নেওয়া হয়।
2. টাইট্রেট বা টাইট্র্যান্ড : টাইট্রেশন করার সময যে দ্রবনের ঘনমাত্রা অজানা থাকে তাকে টাইট্রেট বা টাইট্র্যান্ড বলে। এটি ক্লিনিকাল ফ্লাক্সে নেওয়া হয়।
3. প্রমান দ্রবনের প্রকারভেদ :
a. প্রাইমারী বা মুখ্য প্রমান দ্রবন :
প্রাইমারী স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ ব্যবহার করে নির্দিষ্ট আয়তনের প্রস্তুুতকৃত দ্রবনকে প্রাইমারী বা মুখ্য প্রমান দ্রবন বলে।
b. সেকেন্ডারি বা গৌন প্রমান দ্রবন :
সেকেন্ডারি পদার্থ ব্যাবহার করে যে দ্রবন তৈরি করা হয় তাকে সেকেন্ডারি বা গৌন প্রমান দ্রবন বলে।
প্রমান দ্রবন দ্বারা দ্রবনে বিজারক পদার্থের পরিমাণ নির্নয় বা জারক পদার্থ দ্বারা বিজারক পদার্থের পরিমাণ নির্নয় করা হয়।