তড়িৎ বিভব জানতে হলে প্রথমেই যে বিষয়টি জানতে হবে তা হলো তড়িৎক্ষেএ।
তড়িৎক্ষেএ হচ্ছে কোন একটি চার্জিত বস্তুু যে অঞ্চল জুরে এর প্রভাব বিস্তার করে তাকে তড়িৎক্ষেএ বলে। তড়িৎক্ষেএের মধ্যে অন্যকোন চার্জিত বস্তুু আনলে তার উপর তড়িৎ বল ক্রিয়া করে। তবে তাও্বিকভাবে কোন চার্জিত বস্তুুর তড়িৎক্ষেএ অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত।
অসীম দূর থেকে একক চার্জকে তড়িৎক্ষেএের কোন বিন্দুতে আনতে যে কাজ সাধিত হয় তাকে ঐ বিন্দুর তড়িৎ বিভব বলে। তড়িৎ বিভবকে V দ্বারা সূচিত করা হয়। তড়িৎ বিভব একটি স্কোলার রাশি। কারন এখানে কৃতকাজের পরিমাণকেই বিভব বলে। কাজ একটি স্কোলার রাশি তাই তড়িৎ বিভবও একটি স্কোলার রাশি।
ধরি,
অসীম দূর থেকে q পরিমাণ চার্জকে তড়িৎক্ষেএের কোন বিন্দুতে নিয়ে আসতে W পরিমাণ কাজ করতে হয়। তবে, ঐ বিন্দুর তড়িৎ বিভব,
V = W/q
তড়িৎক্ষেএের বাইরে বা কোন চার্জিত বস্তুু থেকে অসীম দূরে কোন বিন্দুতে ঐ চার্জের জন্য বিভব শূন্য। বিভের S.I. একক ভোল্ট V.
তাই অসীম দূর হতে এক কুলম্ব ধনাত্মক চার্জকে তড়িৎক্ষেএের কোন বিন্দুতে আনতে যদি কৃতকাজের পরিমাণ এক জুএ হয় তবে ঐ বিন্দুর বিভব হবে এক ভোল্ট। ধনাত্মক চার্জ উচ্চ বিভব থেকে নিম্ন বিভবের দিকে এবং ঋণাত্মক চার্জ নিম্ন বিভব থেকে উচ্চ বিভবের দিকে গমন করে। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক,
ধর, একটা পুকুর ও একটি জমি আছে পুকুরে স্বাভাবিকভাবেই পানি বেশি আছে। আর জমিতে পনি কম আছে। কিন্তুু পুকুর আর জমির মাঝে কেটে দিলে কোনদিকে পানি যাবে? এটা পানির পরিমাণের উপর নির্ভর কর না নির্ভর করে পনিে উচ্চতার উপর। জমিতে পানি কম থাকলেও উচ্চতা বেশি হলে পুকুরে সেই পানি যাবে। ঠিক সেরকমই দুটি চার্জিত বস্তুুকে কোন পরিবাহী দ্বারা যুক্ত করলে তাদের মধ্যে চার্জের যে আদান-প্রদান হবে তা চার্জের পরিমাণের উপর নির্ভর করবে না নির্ভর করবে তড়িৎ বিভের উপর।
তড়িৎক্ষেএের কোন বিন্দুতে একটি ধনাত্মক চার্জ স্থাপন করলে এর উপর ক্রিয়াশীল বলকেই ঐ বিন্দুর তড়িৎ প্রাবাল্য বা তীব্রতা বলে। একে E দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
তড়িৎক্ষেএের কোন বিন্দুতে যদি q পরিমাণ চার্জ স্থাপন করি আর তার উপর ক্রিয়াশীল বল F হলে। এর তড়িৎ প্রাবাল্য,
E = F/q
তড়িৎক্ষেত্র একটি ভেক্টর রাশি কারন বলের দিকই প্রাবাল্যর দিক।