আইসোটোপ: আইসোটোপ আবিস্কার করেন বিজ্ঞানী এস্টন, ১৯১৯ সালে। গ্রীক, iso = একই tope = স্থান ।
• মৌলের আইসোটোপ উহার নিউট্রন সংখ্যার উপর নির্ভরশীল।
• এদের প্রোটন সংখ্যা অর্থাৎ পারমাণবিক সংখ্যা সমান।
• নিউক্লিয়াস বা ভর সংখ্যা ভিন্ন।
• এরা একই মৌলের পরমাণু। সর্বমোট আইসোটোপের সংখ্যা প্রায় 1300।
• ভৌত ধর্ম ভিন্ন কিন্তু রাসায়নিক ধর্ম অভিন্ন।
• পর্যায় তালিকায় একই স্থান দখল করে।
• আইসোটোপের ক্ষেত্রে প্রোটন সংখ্যা কার্যকর।
মৌলের নাম | আইসোটোপ |
---|---|
হাইড্রোজেন | 11H 21H 31H |
অক্রিজেন | 168O 178O 188O |
ক্লোরিন | 3517Cl 3517Cl |
কার্বন | 126C 136C 146C 226C |
আয়োডিন | 12753I 13153I 12953I |
ফসফরাস | 3115P 3215P |
ক্রোমিয়াম | 5124Cr 5224Cr |
ইউরেনিয়াম | 23592U 23892U |
• Na (11) ও Au (79) ব্যতীত প্রকৃতিতে সকল মৌলের একাধিক আইসোটোপ রয়েছে।
ও মনে রাখার মজার নিয়ম: আইসোটোপের শেষ বর্ণ 'প' অর্থাৎ প্রোটন সংখ্যা সমান।
☞ জেনে রাখা ভালো। ভারী পানি ডিউটেরিয়াম অক্সাইড (H)₂O = D₂O [ট্রিটিয়াম কৃত্রিম ভারী পানি বলে ভর সংখ্যা ও হলেও একে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আইসোটোপের ব্যবহার-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সব শাখায় তেজস্ক্রিয় আইলেটোপের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। যেমনঃ
★চিকিৎসা বিজ্ঞানে আইসোটোপের ব্যবহারঃ
আইসোটোপের সংকেত | আইসোটোপের ব্যবহার |
---|---|
13153I | টিউমার এর অবস্থান ও আয়তন এবং নলবত বা কষ্টেরমের অস্থির বৃদ্ধি জমিও চিকিৎসা। |
4422Ti | রক্তস্রোতে মিশ্রিত করে শরীরে রকের পরিমাণ নির্ণয়। |
6027Co | ক্যান্সার আক্রান্ত কোষ ধ্বংস করা। |
3215P | রক্ত স্বল্পতা রোগের চিকিৎসা। |
23892U | পাথরের বয়স নির্ণয়। |
9943 Tc | মস্তিষ্কে টিউমারের স্থান নির্ণয়। |
226Ra | ক্যান্সার নির্ণায়ক |
6328Ni | ক্যামেরা ও প্লাজমা প্রদর্শনীতে লাইট সেন্সর হিসেবে ব্যাবহার |
14C | জীবাশ্মের বয়স তথা পৃথিবীর আনুমানিক বয়স নির্ণয়। |
আইসোবারঃ
মনে রাখার মজার নিয়মঃ
আইসোবার এর শেষ বর্ণ 'বার' অর্থাৎ নিউক্লিয়ন সংখ্যা বা ভর সংখ্যা সমান।
• নিউট্রন সংখ্যা ও প্রোটিন সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন মৌলের পরমাণু পর্যায় তালিকায় ভিন্ন স্থান দখল করে
আইসোটোনঃ আইসোটান আবিষ্কৃত হয় ১৯১৯ সালে।
• Isotone মানে নিউট্রন সংখ্যা সমান ভর সংখ্যা ও প্রোটন সংখ্যা ও ভিন্ন ভিন্ন মৌলের পরমাণু এবং পর্যায় তালিকায় ভিন্ন স্থান দখল করে।
মনে রাখার মজার নিয়ম
আইসোটোন এর শেষ বর্ণ 'ন' অথাৎ নিউট্রন সংখ্যা সমান।
আইসোইলেকট্রনিকঃ সমান বা একই ইলেকট্রন বিশিষ্ট আয়ন বা অণু পরমাণুকে সমইলেকট্রনিক বা আইসোইলেকট্রনিক বলা হয়।
আয়ন | ইলেকট্রন সংখ্যা |
---|---|
N3- | 10 |
O2- | 10 |
F- | 10 |
Na+ | 10 |
সমইলেক্ট্রনিক আয়ন
আইসোডায়াফারঃ যে সমস্ত মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে নিউট্রন ও প্রোটন সংখ্যার পার্থক্য সমান আদেরকে পারস্পরের আইসোডায়াফার বলে।
ー সুতরাং ১৯৩ পরস্পরের আইসোডায়াফার।
কোন নিউক্লিয়াইড এবং সেই নিউক্রিয়াইডটি থেকে একটি আলফা-কণা নিঃসরণের ফলে উৎপন্ন পরমাণু পরতো আইসোডায়াফোর হয়।
আইসোস্টারঃ যে সকল অণুর মধ্যে সমসংখ্যক পরমাণু ও সমসংখ্যক ইলেকট্রন যাকে তাদেরকে পরস্পরের আইসোস্টার বলে।
সুজয়াং (N), CO) জোড়া এবং (HCI, F₂) জোড়া পরস্পর আইসোস্টার
আইসোটোপের বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তম:
i. একই মৌলের পরমাণু।
ii. পর্যায় সারণিতে একই অবস্থানে থাকে;
(iii) রাসায়নিক ধর্ম একই কিন্তু ভৌত ধর্মে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
প্রশ্ন 2 : C-14 Dating কাকে বলে?
উত্তর: আবিষ্কৃত জীবাশ্য বা ফসিলে তেজস্ক্রিয় কার্বনের (C-14) তেজস্ক্রিয়তা নির্ণয় করে তা থেকে জীবাশ্মের বয়স তথা পৃথিবীর আনুমানিক বয়স নির্ণয় করার পদ্ধতি C-14 Dating বলা হয়।
প্রশ্ন-৩: 32P এর ব্যবহার লিখ।
উত্তর:
(i) 32P রক্ত স্বল্পতা (blood leukemia), পলিসাইথেমিয়া এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
(ii) 32P ব্যবহার করে একটি গাছ মাটি থেকে কি পরিমাণ ফসফেট গ্রহণ করে তা নির্ণয় করা যায়।
(iii) 32P ব্যবহার করে DNA ও RNA এর গঠন পর্যালোচনা করে জীবন রহস্য উদঘাটন করা যায়।
প্রশ্ন-৪: প্রকৃতিতে কোন কোন মৌলের একাধিক আইসোটোপ নেই?
উত্তর: সোডিয়াম (Na) ও গোল্ড (Au)।