জ্বালানি পুড়িয়ে রাসায়নিক শক্তিকে তাপশক্তিতে রূপান্তরিত করা হয়। এই তাপশক্তিকে আবার বিদ্যুৎ শক্তিতে পরিণত করা যায়। এবার আমরা জানব কীভাবে তাপশন্ত্রিকে সরাসরি বিদ্যুৎ শক্তিতে এবং বিদ্যুৎ শক্তিকে ব্যবহার করে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটানো যায়। যে যন্ত্রের সাহায্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে রাসায়নিক শক্তিকে সরাসরি বিদ্যুৎ শক্তিতে অথবা বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার রুবে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটানো হয় তাকে তড়িৎ রাসায়নিক কোষ বলে।
তড়িৎ রাসায়নিক কোষে একই বা দুইটি ভিন্ন-তড়িৎ বিশ্লেষ্যের দ্রবণে দুইটি ধাতব দন্ড বা গ্রাফাইট দণ্ডই আংশিক ডুবানো থাকে। অতঃপর দন্ড দুটিকে।। একটি ধাতব তার দিয়ে সরাসরি না ব্যাটারির মাধ্যমে সংযোগ দেওয়া ) বা গ্রাফাইট দন্ডকে তড়িৎদ্বার বা ইলেকট্রোড (Electrode) বলা হয় (তড়িৎ রাসায়নিক কোষ দুই প্রকার) কোষের মধ্যে ধাতুর দন্ড হয় কোষের
(i) তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষ (Electrolytic Cell): (যে কোষে বাইরের কোনো উৎস থেকে তড়িৎ প্রবাহিত করে কোষের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটানো যায় সেই কোষকে তড়িৎ বিশ্লেষা কোষ বলে
(ii) গ্যালভানিক কোষ (Gavlanic Cell): (যে কোষে রাসায়নিক পদার্থসমূহ বিক্রিয়া করে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করে সেই কোষকে গ্যালভানিক কোষ বলা হয়
বিদ্যুৎ পরিবাহী: (Conductor)
★ সকল পদার্থ বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে তাদেরকে বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থ বলে যেমন- খায়। গ্রাফাইট, গলিত লবণ, লবণের দ্রবণ, এসিড ও ক্ষারের দ্রবণ প্রভৃতি বিদ্যুৎ পরিবাহীর উদাহরণ।
বিদ্যুৎ পরিবহনের কৌশলের উপর নির্ভর করে বিদ্যুৎ পরিবাহী দুই প্রকার হতে পারে। যথা:
(i) ইলেকট্রনীয় পরিবাহী এবং
(ii) তড়িৎ বিশ্লেষ্য।
★ ইলেকট্রনীয় পরিবাহী:(Electronic_Conductor)
যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রন মাধ্যমে বিদ্যুৎ পরিবাহিত হয় সেসব পরিবাহীকে ইলেকট্রনীয় পরিবাহী বলে) তোমরা দেখেছ ধাতুর মধ্যে ধাতব বন্ধন বিদ্যমান। এখানে প্রচুর পরিমাণে মুস্ত ইলেকট্রন থাকে। গ্রাফাইটেও মুক্ত ইলেকট্রন থাকে। এ সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রন মাধ্যমে বিদ্যুৎ পরিবাহিত হয়। সকল পরিবাহীকে ইলেকট্রনীয় পরিবাহী বাল। যেমন- লোহা (Fe), কপার (Cu), নিকেল (Ni), গ্রাফাইট ইত্যাদি ইলেকট্রনীয় পরিবাহী।