পাটকাঠি আস্ত রেখে পাটের আঁশ ছাড়ানোর যন্ত্র আবিষ্কার করেছে গাজীপুরস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) বিজ্ঞানীরা। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বারির ফার্ম মেশিনারি অ্যান্ড পোস্টহার্ভেস্ট প্রোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং সিরিয়াল সিস্টেম ইনিশিএটিভ ফর সাউথ এশিয়া-মেকানাইজেশন অ্যান্ড এক্সটেনশন এক্টিভিটি সিমিট, বাংলাদেশ যৌথভাবে আয়োজিত অনলাইন কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জুম প্ল্যাটফর্ম অনলাইনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালার উদ্বোধন করেন বারির মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার।
বারির সাবেক মহাপরিচালক ড. ক্ষীরোদ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারির পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. তারিকুল ইসলাম, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. ফেরদৌসী ইসলাম, সিমিটের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. তিমোথি জে. ক্রপনিক এবং সিএসআইএসএ-এমইএ, সিমিটের বাংলাদেশের চিফ অব পার্টি ড. ওয়েন কালভার্ট। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারির এফএমপিই বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. মো. আইয়ুব হোসেন এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এফএমপিই বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ এরশাদুল হক।
কর্মশালায় বারির বিভিন্ন বিভাগ ও কেন্দ্রের বিজ্ঞানী, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ২৫টি কৃষি যন্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বারির এফএমপিই বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ এরশাদুল হক জানান, বর্তমানে দেশে পাটের আঁশ ছাড়ানোর জন্য বেশ কিছু যন্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু সেগুলো দিয়ে পাটের আঁশ ছাড়াতে গেলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাটকাঠি ভেঙে যায়। ফলে কৃষকরা এসব যন্ত্র ব্যবহার করতে চায় না। এ সমস্যা সমাধানে বারির এফএমপিই বিভাগের বিজ্ঞানীরা গবেষণা শুরু করে এবং পাটকাঠি আস্ত রেখে পাটের আঁশ ছাড়ানোর যন্ত্র আবিষ্কারে সক্ষম হয়। এ যন্ত্র দিয়ে পাটের আঁশ ছাড়ালে প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত পাটকাঠি আস্ত থাকে।