1.অম্ল(acid) : অম্ল হচ্ছে সেইসব H যুক্ত যৌগ, যার H পরমানুকে আংশিক বা পূর্ণভাবে কোন ধাতব পরমানু দ্বারা প্রতিস্থাপন করা যায় এবং যারা ক্ষারের সাথে বিক্রয়া করে লবন ও পানি উৎপন্ন করে।
2.ক্ষারক(Base): ক্ষারক হচ্ছে ধাতুর অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড যারা অম্লের সাথে বিক্রয়া করে লবন ও পানি তৈরি করে।
★ ক্ষার: ক্ষার হচ্ছে ধাতুর হাইড্রোক্সাইড যারা পানিতে দ্রবীভূত হয় এবং OH আয়ন উৎপন্ন করে।
★অ্যরিনিয়াসের এসিড-ক্ষার তও্ব:
বিজ্ঞানী অ্যারেনিয়াস যৌগের আনবিক সংকেত ও পানিতে এদের আচরণের ওপর ভিওি করে অম্ল এবং ক্ষারের শ্রেনিবিভাগ করেন। অ্যরিনিয়াসের মতবাদ অনুসারে,
এসিডের সংজ্ঞা :
এসিড বা অম্ল হচ্ছে হাইড্রোজেন যুক্ত যৌগ, যারা জলীয় দ্রবনে হাইড্রোজেন আয়ন তৈরি করে বা দান করে।
ক্ষারকের সংজ্ঞা :
ক্ষারক হচ্ছে সেসব যৌগ, যারা জলীয় দ্রবনে হাইড্রোক্সিল আয়ন তৈরি করে বা দান করে।
★অ্যারেনিয়াস তও্বের সাফল্য :
১. জলীয় দ্রবনে এসিড ও ক্ষারকের বিক্রয়ায় অ্যারেনিয়াস মতবাদ খুবই কার্যকর।
২.কোন জলীয় দ্রবন অম্লীয় বা ক্ষারীয় হওয়ার কারন ব্যাখা করা যায়।
৩.অম্ল ও ক্ষারকের তীব্রতাকে বিয়োজন ধ্রুবকের মাধ্যমে ব্যাখা করা যায়।
৪. প্রশমন তাপের মান 57.34 kj/m হওয়ার কারন ব্যাখা করা যায়।
★অ্যারেনিয়াস মতবাদের সীমাবদ্ধতা :
১.এই মতবাদ অজলীয় দ্রবনে মোটেও কার্যকরী নয়।
২.গ্যাসীয় অবস্থায় কোন যৌগের অম্ল -ক্ষার ধর্ম ব্যাখা করতে অসমর্থ।
৩. ধাতব অক্সাইডের ক্ষার ধর্ম ব্যাখা করতে অসমর্থ।
★ ব্রনস্টেড লাউরির মতবাদ বা প্রোটনীয় মতবাদ :
1923 সালে ডেনমার্কের রসায়নবিদ জোহান্স ব্রনস্টেড ও ইংরেজ রসায়নবিদ থমাস লাউরি পৃথকভাবে এসিড বা ক্ষারের জন্য এক তও্ব উপস্থাপন করেন। এটিকে এসিড ক্ষারকের ব্রনস্টেড লাউরি মতবাদ বলে।
★ অম্ল : অম্ল হলো এমন একটি যৌগ বা আয়ন, যা অন্য পদার্থকে প্রোটন দান করতে পারে।
★ ক্ষারক: ক্ষারক হলো এমন একটি যৌগ বা আয়ন, যা অম্ল হতে প্রোটন গ্রহন করতে পারে।
অর্থাৎ সংক্ষেপে অম্ল হলো প্রোটন দাতা এবং ক্ষারক হলো প্রোটন গ্রহীতা। এরা আধানবিহীন যৌগ অথবা ধনাত্মক বা ঋণাত্মক আধানবিশিষ্ট হতে পারে।একে অম্ল ক্ষারকের প্রোটনীয় তও্ব বলা হয়।