ভার্চুয়াল রিয়েলিটি শব্দের আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে কৃত্রিম বাস্তবতা, অর্থগতভাবে শব্দ দু'টি যদিও স্ববিরোধী কিন্তু তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এমন এক ধরনের পরিবেশ তৈরী করে যেটি বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের মত চেতনা সৃষ্টি করে এবং মস্তিষ্কে একটি বাস্তব অনুভূতি জাগায়।
আমরা জানি,
স্পর্শ, শোনা কিংবা দেখা থেকে এই অনুভূতিগুলো সৃষ্টি করতে পারি তাহলে অবস্থাটি মানুষের কাছে পুরাপুরি বাস্তব বলে মনে হতে পারে। এটি নানাভাবে করা সম্ভব। অনেক সময় বিশেষ ধরনের চশমা বা হেলমেট পরা হয় যেখানে দুই চোখে দুটি ভিন্ন দৃশ্য দেখিয়ে ত্রিমাত্রিক অনুভূতির সৃষ্টি করা হয়। অনেক সময় একটি স্ক্রিনে ভিন্ন ভিন্ন প্রজেক্টর দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন দৃশ্য দেখে সেই অনুভূতির সৃষ্টি করা হয়। এই প্রক্রিয়া করে সম্পাদন করার জন্য মূলত কম্পিউটারের সাহায্য নিয়ে হার্ডওয়ার ও সফটওয়ার এর সমন্বয়ে কোন একটি পরিবেশ বা ঘটনার বাস্তব ভিত্তিক ত্রি-মাত্রিক চিত্রায়ন করা হয়। তাই বলা যায় ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো হার্ডওয়ার ও সফটওয়ার এর মাধ্যমে তৈরিকৃত এমন একটি কৃত্রিম পরিবেশ যা উপস্থাপন করা হলে ব্যবহারকারীদের কাছে এটিকে বাস্তব পরিবেশ বলে মনে হয়।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পরিবেশ তৈরির জন্য শক্তিশালী কম্পিউটারের সংবেদনশীল গ্রাফিক্স ব্যবহার করতে হয়। সাধারণ গ্রাফিক্স আর ভার্চুয়াল জগতের গ্রাফিক্স এর মধ্যে তফাৎ হলো এখানে শব্দ ও স্পর্শ কেও গুরুত্ব দেয়া হয়। ব্যবহারকারীরা যা দেখে বা স্পর্শ করে তা বাস্তব কাছাকাছি বোঝানোর জন্য বিশেষভাবে তৈরি চশমা বা হেলমেট (HMD: Head Mountained Display) ছাড়াও অনেক সময় হ্যান্ড গ্লাভস, বুট, সুট ব্যবহার করা হয়। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটারে গ্রাফিক্স ব্যবহারের মাধ্যমে দূর থেকে পরিচালনা করার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হয়। একে টেলিপ্রেজেন্স বলা হয়।
এছাড়াও এ পদ্ধতিতে বাস্তবভিত্তিক শব্দ সৃষ্টি করা হয়, যাতে মনে হয়, শব্দগুলো বিশেষ বিশেষ স্থান হতে উৎসারিত হচ্ছে।