জৈব যৌগ :
কার্বন ঘটিত যৌগকে জৈব যৌগ বলে।
জৈব যৌগের বৈশিষ্ট্য :-
I. ঐ যৌগে অবশ্যই কর্বন থাকতে হবে।
II. ঐ যৌগে অবশ্যই হাইড্রজেন থাকতে হবে।
III. ঐ যৌগে N, P,S, O, X ইত্যাদি থাকতেও পারে নাও থাকতে পারে।
★ জৈব রসায়ন :-
রসায়নের যে শাখায় জৈব যৌগ নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে জৈব রসায়ন বলে।
★ প্রাণশক্তি মতবাদ :-
1807 সাল সুইডিস বিজ্ঞানী বার্জেলিয়াস প্রাণশক্তি মতবাদ প্রবর্তন করেন। তার মতে উদ্ভিদ ও প্রানিদেহের এক রহস্যময় প্রাণশক্তির প্রভাবে জৈব যৌগ উৎপন্ন হয়। কিন্তুু পরবর্তীতে 1828 সালে ফ্রেডরিক উহলার অ্যামেনিয়াম সায়ানাইডকে তাপ দিয়ে প্রমান করেন যে শুধু সজীব কোষেই জৈব যৌগের উৎপন্ন হয় না। বস্তুত তিনি অ্যামেনিয়াম সায়ানাইডকে তাপ দিয়ে ইউরিয়া পেয়েছিল যা একটি জৈব যৌগ।
তাই ফ্রেডরিক উহলারকে জৈব রসায়নের জনক বলা হয়।
★ জৈব যৌগের প্রাচুর্যতার কারন :-
a. ক্যাটিনেশন :-
একই মৌলের পরমানু সমূহ নিজেদের মধ্যে কিংবা অন্যকোন মৌলের পরমানুর সাথে একক,দ্বি বা এি বন্ধন গঠনে মাধ্যম ছোট বড় শিকল বা বলয় বা চাক্রিক কাঠামো গঠনের ধর্মকে ক্যাটিনেশন বলে। ক্যাটিনেশন ধর্ম তিনটি মৌল প্রদর্শন করে।
i. কার্বন
ii. সালফার
iii. সিলিকন
B. সমানুতা :-
যেসব মৌলে আনবিক সংকেত একই কিন্তুু গাঠনিক সংকেত ভিন্ন হওয়ার কারনে এদেের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মের পরিবর্তন পরীলক্ষিত হয় তাদেরকে পরষ্পরের সমানু বা আইসোমার বলে। আর এই ঘটমান বিষয়টিকে আইসোমারিজন বা সমানুতা বলে।
C.পলিমারকরন :-
যে প্রক্রিয়ায় অসংখ্য ছোট ছোট অনু মিলে একটি বৃহৎ অনু গঠিত হয় তাকে পলিমারকরন বলে।
D. কার্বনের চতুর্যোজ্যতা :-
কার্বনের যোজনী 4 হওয়ার কারনে এটি পরিবর্তনশীল জারন অবস্থা প্রকাশ করে। এটি একটি পরিবর্তনশীল মৌল। পৃথিবীতে কার্বনের অসংখ্য যৌগ রয়েছে যার মধ্যে কার্বনের যোজনী 4, তবে কার্বনের যোজনী 2 শুধু কয়েকটি যৌগে দেখা যায়। যেমন: কার্বন মনো-অক্সাইড (CO), ফিনাইল সায়ানাইড, মিথাইল সায়ানাইড ( CH3-CN).
◼️ জৈব যৌগ pdf file কবির স্যারের বইয়ের অংশ ডাউনলোড করুন :
Part- 1