ধারক বা ক্যাপাসিটর হলো চার্জ বা কোন পরিবাহীর ধারকত্ব বৃদ্ধি করার যান্ত্রিক ব্যাবস্থাকে ধারক বলে।
কাছাকাছি স্থাপিত দুটি পাতের মধ্যবর্তী স্থানে অন্তরক পদার্থ রেখে তড়িতকে আধানরুপে সঞ্চিত করে রাখার পদ্ধতিকে ধারক বলে । আর ধারকত্ব বজায় রাখার যান্ত্রিক কৌশলকে ধারকত্ব বলে। কোন বস্তুুতে তাপ প্রয়োগ করা হলে যেমন তার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, ঠিক তেমনি কোন পরিবাহীতে চার্জ প্রদান করলে এর বিভব বৃদ্ধি পায়। তাই চার্জ বাড়লে এর বিভব বাড়ে। তাই বিভব ও পরিবাহীতে চার্জের পরিমান পরষ্পর সমানুপাতিক। যদি কোন পরিবাহীতে q পরিমান চার্জ জমা থাকে তবে,
Q œ V
বা, q = CV
বা, C = q/V
এখানে, C হলো সমানুপাতিক ধ্রুবক। সুতরাং কোন পরিবাহীর ধারকত্ব একক পরিমান বৃদ্ধি করতে যে চার্জের প্রয়োজন হয় তাকে চার্জ ধারকত্ব বলে।
SI পদ্ধতিতে ধারকত্বের একক ফ্যারাড (F).
◾গোলাকার পরিবাহীর ধারকত্ব :
ধরি, শূন্য মাধ্যমে একটি পরিবাহী গোলক যার ব্যাসার্ধ r থেকে গোলকের পৃষ্ঠে কোন বিন্দুতে বিভব,
V =(1÷4πε).q/r
তাই V এর মান ঐ সমীকরণে বসালে C হবে,
C =4πε.r
এখানে, ε (epsilon) হলো মাধ্যমের আপেক্ষিক ভেদ্যতা। বায়ু মাধ্যমে এর মান 8.854 X 10 - 12 F.m-1
★ কোন পরিবাহীর ধারকত্ব 4 টি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল :
1.পরিবাহীর পৃষ্ঠের ক্ষেএফল
2. পাতদ্বয়ের দূরত্ব
3. চার পার্শ্বস্থ মাধ্যমের প্রকৃতি
4. অন্য পরিবাহীর উপস্থিতি