বায়োইনফরমেটিক্স জীববিজ্ঞান, কম্পিউটার সাইন্স, ইনফর্মেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, গণিত এবং পরিসংখ্যান এর সম্মনিত গঠিত একটি বিষয় মূলত এই বিষয়টির জন্ম হয়েছে জীব বিজ্ঞানের বিশাল পরিমাণ ডেটা সংগ্রহ সংরক্ষণ এবং সঠিকভাবে প্রক্রিয়া করে সেগুলোর ব্যাখ্যা করার জন্য।
বায়োইনফরমেটিক্স এর প্রথম বড় সাফল্য এসেছিল যখন 13 বছরের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর মানব জিনম প্রথমবার সিকোয়েন্স করা হয়েছিল এবং সেই তথ্য অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছিল যেন সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা সেটি পেতে পারে। এখন প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে কয়েক ঘণ্টার ভেতর পুরো মানব জিনোম সিকুয়েন্স করা সম্ভব।
বায়োইনফরমেটিক্স এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হচ্ছে ক্যান্সারের ওপর গবেষণা ভবিষ্যতে প্রত্যেকটা মানুষের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে তার নিজস্ব ওষুধ ব্যবহার হবে সেটিও সম্ভব হবে বায়োইনফরমেটিক্সের গবেষণার ফলে প্রোটিনের গঠন বহুদিন থেকে বিজ্ঞানীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বায়োইনফরমেটিক্স এই ব্যাপারেও মূল গবেষণায় বড় ভূমিকা পালন করতেছে। বিজ্ঞানী একটি অন্তত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বিবর্তন। বিবর্তনের রহস্য উন্মোচনে বায়োইনফরমেটিক্স অনেক বড় একটি ভূমিকা পালন করছে।
◼️ সাধারণত নিচের নিচের চারটি ভিন্ন ভিন্ন শাখার উপাদান ও কৌশলের সমন্বয়ে বায়োইনফরমেটিক্স পদ্ধতি কাজ করে থাকে :
১.আণবিক জীববিদ্যা ও মেডিসিন:ডেটা উৎস বিশ্লেষণ এর কাজ করে।
২. ডেটাবেজ: টেক্সট মাইনিং ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন করে থাকে।
৩. প্রোগ্রাম: উপাত্ত বিশ্লেষণে অ্যালগরিদম যার মাধ্যমে বায়োইনফরমেটিক্স কঠোরভাবে সুনির্দিষ্ট করা হয়।
৪. গণিত ও পরিসংখ্যান : এর সাহায্যে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়।
বায়োইনফরমেটিক্স এর ব্যবহার :
মূলত জৈবিক পদ্ধতি বিশ্লেষণ সম্পর্কে সম্যক এবং সঠিক ধারণা অর্জন করার ক্ষেত্রে বায়োইনফরমেটিক্স ব্যবহার হয় আর এই জৈবিক তথ্য হিসাব-নিকাশ এবং এ সম্পর্কিত যাবতীয় সমস্যার সমাধানে কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য। তবে জিনোম সিকোয়েন্স, প্রোটিন সিকোয়েন্স ইত্যাদি গঠন উপাদানের ইলেকট্রনিক ডাটাবেজ গঠনে কম্পিউটার প্রযুক্তি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া মলিকিউলার মেডিসিন, জিন থেরাপি, ওষুধ তৈরিতে, বর্জ্য পরিষ্কারকরনে, জলবায়ু পরিবর্তন গবেষণায়, বিকল্প শক্তির উৎস সন্ধানে, জীবাণু অস্ত্র তৈরিতে, ডিএনএ ম্যাপিং এনালাইসিস,জিন ফাইন্ডিং, প্রোটিনের মিথস্ক্রিয়ার পর্যবেক্ষণে বায়োইনফরমেটিক্স ব্যবহার হয়।